স্বদেশ ডেস্ক:
বাহিনীর সাধারণ সদস্য ও মিনিস্ট্রিয়াল স্টাফদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত বিভিন্ন অভিযোগ অনুসন্ধান এবং বিভাগীয় মামলার তদন্ত কোনো কোনো কর্মকর্তা দায়সারাভাবে করেন বলে নজরে এসেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি)। এ প্রেক্ষাপটে ভবিষ্যতে যে কোনো অভিযোগের প্রাথমিক অনুসন্ধান ও বিভাগীয় মামলা তদন্তে কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যেন গাফিলতি না করেন এবং কীভাবে যথাযথভাবে অভিযোগের তদন্ত ও অনুসন্ধান করতে হবে, সে বিষয়ে ৯ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। সম্প্রতি ডিএমপির প্রফেশনাল স্টান্ডার্ড অ্যান্ড ইন্টারনাল ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন থেকে সব বিভাগে পাঠানো হয়েছে এই ৯ দফা নির্দেশনা-সংবলিত চিঠি।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরে কর্মরত পুলিশ সদস্য ও মিনিস্ট্রিয়াল স্টাফদের বিরুদ্ধে প্রফেশনাল স্টান্ডার্ড অ্যান্ড ইন্টারনাল ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনে গৃহীত বিভিন্ন অভিযোগ প্রাথমিক অনুসন্ধান এবং বিভাগীয় মামলা তদন্তের দায়িত্ব ডিএমপি কর্মকর্তাদের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও বিভাগীয় মামলা তদন্তের ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তাদের গাফিলতি পরিলক্ষিত হচ্ছে।
এসব গাফিলতির মধ্যে আছে- অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ না করা, সাক্ষীদের গৃহীত জবানবন্দি সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই/পর্যালোচনা না করা, অনুসন্ধান/তদন্ত প্রতিবেদনে সঠিকভাবে দাপ্তরিক ভাষা ব্যবহার না করা, ঘটনার সময় সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সব তথ্য লিপিবদ্ধ না করা, অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিষয় প্রাপ্য গুরুত্ব অনুসারে উল্লেখ না করা, প্রাথমিক অনুসন্ধান/বিভাগীয় মামলার তদন্ত প্রক্রিয়ার নির্দেশনা ও নমুনা কাঠামো যথাযথভাবে অনুসরণ না করা, বিবেচ্য বিষয়ে সুস্পষ্ট তদন্ত না করে দায়সারা অনুসন্ধান/তদন্ত করে মনগড়া মতামত প্রদান, মতামতের সারাংশে বিধি অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট বক্তব্য উল্লেখ না করা এবং দাপ্তরিক নথির সঙ্গে গোপনীয়তা ও সংবেদনশীলতা যথাযথভাবে অনুসরণ না করা। এই চিঠির বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কী কী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা জেনে বলতে হবে।
অবশ্য নির্দেশনার বিষয়ে ডিএমপির একজন পদস্থ কর্মকর্তা আমাদের সময়কে বলেন, আমাদের কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে আমরা চাই যথাযথভাবে তা অনুসন্ধান ও তদন্ত করে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। সে ক্ষেত্রে তদন্ত যেন দায়সারাভাবে করা না হয়, সে বার্তা দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। এ ছাড়া ত্রুটি-বিচ্যুতি পাওয়ার বিষয়টিও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।